রাঙামাটি প্রারতিনিধি: রাঙামাটি পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবসের স্মরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যােগে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’র হল রুমে সকাল ১০.টায় অনুষ্ঠিত হয়। ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি শাব্বির আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মোঃ হাবিব আজম হাবিবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে শোক সভায় বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও বাঘাইছড়ির সাবেক পৌর মেয়র আলমগীর কবির, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ সোলায়মান, সিঃ সহ-সভাপতি মোঃ নাদিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি আমির মোঃ সাবের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অাবু বকর , সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওয়াহাব, আব্দুল হাই খোকন, অর্থ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম, সহ-অর্থ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান, সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোরশেদা আক্তার, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ নেতা মোঃ নাজিম আল হাসান, মোঃ তাজুল ইসলাম তাজ,মামুনুর রশীদ মামুন, বাকী বিল্লাহ্, মোস্তফা রাজু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলমগীর কবির বলেন, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস’র সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনীর হাতে অসংখ্য বর্বরোচিত, নাড়কীয় ও পৈশাচিক হত্যাকান্ডে শিকার হয়েছে পাবর্ত্য অঞ্চলের বাঙালীরা। অসংখ্য ঘটনার মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে একটি নৃশংসতম বর্বর গণহত্যা দিন, পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস।
১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএস এর সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনী কর্তৃক রাঙামাটি জেলার পাকুয়াখালীতে নিরীহ এবং নিরস্ত্র বাঙালী কাঠুরিয়াদের ওপর নিমর্ম নিযার্তনের পর হত্যাকান্ড চালিয়ে তাদের বীভৎস মানসিকতার এক জঘন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি একটি নৃশংসতম ববর্র গণহত্যা দিন। এই দিনে ৩৫ জন নিরীহ বাঙালী কাঠুরিয়াকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছিল শান্তি বাহিনী। তাদের ক্ষত-বিক্ষত, বিকৃত লাশের নিমর্ম দৃশ্য দেখে সেদিন শোকে ভারী হয়ে ওঠেছিল পরিবেশ। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে কুপিয়ে এবং বন্দুকের বেয়নেট ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নানাভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল সেদিন অসহায় ওই মানুষগুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শান্তিবাহিনী।
নেতৃবৃন্দদের দাবি, মানবাধিকার এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে পাবর্ত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই পাকুয়াখালী গণহত্যাসহ পাহাড়ে সকল বাঙালী গণহত্যাকান্ডের তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন। অন্যথায় পাবর্ত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা কোনোদিনই সফল হবে না। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও সম্প্রীতি রক্ষায় সশস্ত্র অবৈধ অস্ত্রধারী ও দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে গণহত্যার দায়ে খুনি সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসা সহ তাদের সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
রিপোর্ট : হারুনুর রশীদ,রাঙ্গামাটি।